Monday, December 3, 2018

আমি আমার মোটরযানের ট্যাক্স টোকেন হারিয়ে ফেলেছি। এখন ট্যাক্স টোকেনের প্রতিলিপি পাওয়ার জন্য কি করতে হবে?

8:17 PM 12
ট্যাক্স-টোকেন হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে অথবা পুরে গেলে নিম্নোলিখিত ধাপসমূহ অনুসরণপূর্বক ট্যাক্স-টোকেনের প্রতিলিপি সংগ্রহ করা যাবেঃ- 


(১) মোটরযানের নিবন্ধন নাম্বার ও হারানো ট্যাক্স-টোকেনের মেয়াদ উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করতে হবে।

(২) বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক ডিভিশন থেকে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স (জিডি-এর উপর বর্ণিত মোটরযানের ট্যাক্স-টোকেনটি জব্দ করা হয়নি মর্মে উল্লেখ করে ট্রাফিক অফিস কর্তৃক সিল ও স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন) সংগ্রহ করতে হবে।

(৩ক) ট্যাক্স টোকেনটি যদি ব্যাংক থেকে নবায়ন করা করা হয়ে থাকে তাহলে, যে ব্যাংক থেকে ট্যাক্স টোকেনটি নবায়ন করা হয়েছে সে ব্যাংকে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সসহ জিডি ও ট্যাক্স-টোকেনের প্রতিলিপি ফি ২৩/- টাকা (ভ্যাটসহ) জমা দিয়ে ট্যাক্স-টোকেনের প্রতিলিপি সংগ্রহ করা যাবে।

(৩খ) ট্যাক্স-টোকেনটি যদি বিআরটিএ থেকে ইস্যু করা হয়ে থাকে, তাহলে বিআরটিএ’র ফি জমা নেয় এমন যে কোন ব্যাংকে ট্যাক্স-টোকেনের প্রতিলিপি ফি ২৩/- টাকা (ভ্যাটসহ) জমা দিয়ে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সসহ জিডি ও ফি জমার রশিদের বিআরটিএ’র কপিসহ বিআরটিএ’র যে অফিস থেকে মোটরযানটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে বা বিআরটিএ’র যে অফিসে এন্ডোর্সড হয়েছে সে অফিসের সহকারী পরিচালক(ইঞ্জিনিয়ারিং) ও রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ট্যাক্স-টোকেনের প্রতিলিপি সংগ্রহ করা যাবে।

Saturday, March 24, 2018

মোটরসাইকেলসহ সকল মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সঠিক ভাবে হয়েছে কি-না তা যাচাই করব কিভাবে?

9:41 PM 21
মোটরসাইকেলসহ সকল মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সঠিক ভাবে হয়েছে কি-না তা নিয়ে অনেক সময় অনিশ্চয়তা কাজ করে। এখন ঘরে বসেই মোটরযানের রেজিস্ট্রেশেন সঠিকভাবে হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। ধাপগুলে নিচে দেওয়া হলোঃ

(১) “Please Select Your Transaction Type”-এর ঘরে E-Tracking No অথবা Transaction No. নির্বাচন করুন;
(২) “Please Enter Your Search Value”-ঘরে ফি জমার রশিদের উপরের ডান কোনায় উল্লিখিত E-Tracking No অথবা Transaction No. টাইপ করুন; উপরের ঘরে E-Tracking No নির্বাচন করলে E-Tracking No টাইপ করুন অথবা Transaction No. নির্বাচন করলে Transaction No. টাইপ করুন;
(৩) ছবিতে প্রদর্শিত অক্ষর ও সংখ্যাগুলো হুবহু  “Code” লেখা ঘরে টাইপ করুন;
(৪) এরপর GO বাটনে ক্লিক করুন।

বি:দ্র: একাধিক পেমেন্ট স্ট্যাটাস যাচাই করতে চাইলে প্রতিবার “Refresh The Image”-লেখাটির উপর ক্লিক করে নিন। পাঠকদের সুবিধার্থে এখানে http://brta.cnsbd.com/ সাইটটি ফ্রেমের মধ্যে রেখে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশ এখানে প্রদর্শ করা হয়েছে।

Sunday, December 24, 2017

মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে জেনে নিন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুতের বর্তমান অবস্থা

7:53 AM 127
বর্তমানে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুতের কোন ধাপে আছে তা জানা যায়। আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুতের বর্তমান অস্থা জানতে নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুনঃ
(১) মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে “DL<space> রেফারেন্স নম্বর” টাইপ করুন;
(২) মেসেজটি 6969 নম্বরে পাঠিয়ে দিন;
(৩) ফিরতি মেসেজে চিপযুক্ত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুতের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন।
[ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বায়ো মেট্রিক্স সম্পন্ন করার পর বিআরটিএ থেকে যে এ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ দেওয়া হয় তাতে রেফারেন্স নাম্বার উল্লেখ থাকে।]

উদাহরণ:
Type:  DL DM121590 & Send to 6969
     

গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা:

১। ​ রেফারেন্স নম্বর এ যদি কোনো ডেশ (“-”) থাকলে তা বাদ দিতে হবে। কিন্তু যদি স্ল্যাশ (“/”) থাকে তবে তা দিতে হবে।

২। যদি আপনি নবায়নের জন্য আবেদন করে থাকেন তবে আপনার ফিরতি মেসেজে যদি পূর্বের ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স এর “QC Date” প্রদর্শন করে তবে বুঝবেন এখনো সার্কেল অফিস থেকে আপনার আবেদনটির  নবায়নের কার্যক্রম সম্পন্ন করা  হয়নি।

ফিরতি মেসেজ নিম্নলিখিতগুলো সাধারণত পাওয়া যায়, এর ভিন্ন কোনো মেসেজ হলে কর্তৃপক্ষের সহিত যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো :

  • Your Driving License is pending processing.
  • Printing of your Driving License is in progress.
  • Your Driving License has been approved and awaiting printing.
  • Your Driving License has been printed and awaiting quality assurance.
  • Quality assurance of your Driving License has completed and awaiting packaging.
  • Your Driving License has been packed and awaiting shipment.
  • Your Driving License is awaiting shipment.
  • Your Driving License is ready for shipment but has not yet reached your point of collection.
  • Your Driving License application has not yet been approved.
  • Printing of your Driving License is in progress.
  • Your Driving License has been printed and awaiting quality assurance.

Sunday, December 3, 2017

বিআরটিএ’র ফি সঠিক ভাবে জমা হয়েছে কি-না তা যাচাই করব কিভাবে?

7:24 AM 0
বিভিন্ন সময় আমরা সময়ের অভাবে অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে বিআরটিএ’র ফি জমা দেই। এ ফি সঠিকভাবে জমা হয়েছে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করে। এখন ঘরে বসেই ফি জমার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। ধাপগুলে নিচে দেওয়া হলোঃ

(১) “Please Select Your Transaction Type”-এর ঘরে E-Tracking No অথবা Transaction No. নির্বাচন করুন;
(২) “Please Enter Your Search Value”-ঘরে ফি জমার রশিদের উপরের ডান কোনায় উল্লিখিত E-Tracking No অথবা Transaction No. টাইপ করুন; উপরের ঘরে E-Tracking No নির্বাচন করলে E-Tracking No টাইপ করুন অথবা Transaction No. নির্বাচন করলে Transaction No. টাইপ করুন;
(৩) ছবিতে প্রদর্শিত অক্ষর ও সংখ্যাগুলো হুবহু  “Code” লেখা ঘরে টাইপ করুন;
(৪) এরপর GO বাটনে ক্লিক করুন।

বি:দ্র: একাধিক পেমেন্ট স্ট্যাটাস যাচাই করতে চাইলে প্রতিবার “Refresh The Image”-লেখাটির উপর ক্লিক করে নিন। পাঠকদের সুবিধার্থে এখানে http://brta.cnsbd.com/ সাইটটি ফ্রেমের মধ্যে রেখে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশ এখানে প্রদর্শ করা হয়েছে।

ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করব কিভাবে?

7:12 AM 2
বিআরটিএ’র অনলাইন ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে সরাসরি ব্যাংক থেকেই ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করা যায়। এ জন্য বিআরটিএ অফিসে আসতে হয় না। ট্যাক্স টোকেন নবায়নের সময় পূর্ববর্তী ট্যাক্স টোকেন সনদের মূলকপি নিয়ে নির্ধারিত ব্যাংকে ট্যাক্স টোকেন ফি জমা দিলেই ব্যাংক থেকেই ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করে দিবে। ব্যাংকের শাখা ও বুথের তালিকা বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

Monday, November 27, 2017

মোটরযানের ফিটনেস নবায়ন করব কিভাবে?

7:37 PM 1
মোটরযানের ফিটনেস সনদ কি?
আপনার মোটরযানটি সড়কে চলাচলের উপযুক্ত কি-না সে সম্পর্কিত সনদ। ‘মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩’ - এর আলোকে ‘মোটরযান বিধিমালা ১৯৮৪’-এর বিধি ৬৮(১) অনুযায়ী একজন মোটরযান পরিদর্শক ‘Form VTR’-এ উল্লিখিত মোটরযানের মোট ৬০টি বিষয় পরিদর্শনের পর সঠিক পাওয়া স্বাপেক্ষে মোটরযানের ফিটনেস সনদ প্রদান করেন।

ফিটনেস নবায়ন পদ্ধতি
১। মোটরযানের ফিটনেস নবায়নের জন্য নিম্নোক্ত কাগজপত্র সংযুক্ত করে নির্ধারিত ফরম (সিএফ.আর.এ ফরম)-এ আবেদন করতে হয়:
(১) নির্ধারিত ফি জমা রশিদ;
        (২) হালনাগাদ ট্যাক্স টোকেন এর ফটোকপি;
       (৩) মোটরযানের অনুমিত/অগ্রিম আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র (অনুমিত/অগ্রিম আয়কর জমা দিতে TIN আবশ্যক)
      (৪) পূর্বের ফিটনেস সার্টিফিকেটের মূল কপি;
২। মোটরযানটি পরিদর্শনের জন্য বিআরটিএ’র নির্ধারিত সার্কেল অফিসে হাজির করতে হবে;
৩। সন্তোষজনক পরিদর্শন রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ফিটনেস নবায়ন করা হয়।

কোথায় থেকে মোটরযানের ফিটনেস নবায়ন করাবেন?
সর্বশেষ বিআরটিএ’র যে সার্কেল অফিস হতে মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ বা ফিটনেস নবায়ন করেছেন অথবা মোটরযানটি এন্ডোরস্ করিয়ে যে সার্কেল অফিসে নেওয়া হয়েছ, সে সার্কেল অফিসে নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তার মোটরযানের ফিটনেস নবায়নের জন্য আবেদন করবেন এবং পরিদর্শনের জন্য মোটরযানটি ঐ অফিসে হাজির করবেন।

Tuesday, September 26, 2017

ড্রাইভিং লাইসেন্স করব কি ভাবে?

8:00 AM 10
ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হয় মোট ০৯ (নয়)টি ধাপে। ধাপ গুলো হ’লঃ
      (১) ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া;
      (২) শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম সংগ্রহ ও পূরণ;
      (৩) শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম জমা দেওয়া;
      (৪) শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের সাথে কি কি কাগজ জমা দিতে হবে;
      (৫) সময়মত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ;
      (৬) স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবার ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া;
      (৭) স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চূড়ান্ত আবেদন ফরম সংগ্রহ, পূরণ ও  জমা দেওয়া:
      (৮) স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম জমা দেওয়ার সময় কি কি কাগজ বা ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে;
      (৯) আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি বিআরটিএ অফিস থেকে সংগ্রহ করা:

      (১) ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া:
      নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আবেদনকারীকে প্রথমে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে। মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কার তথা হালকা মানের মোটরযান যে কোট একটি চালানোর জন্য শিক্ষানবিশ বা  লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি ভ্যাটসহ ৩৪৫/- (তিনশত পঁয়তাল্লিশ) টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার তথা হালকা মানের মোটরযান অর্থাৎ দুই ধরণের গাড়ি চালনার জন্য শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি  ভ্যাটসহ ৫১৮/- (পাঁচশত আঠার) টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ব্যাংকের শাখা বা বুথের তালিকার জন্য এখানে ক্লিক করুন https://goo.gl/Av5Vgc । তালিকায় উল্লেখিত বাংলাদেশের যে কোন শাখায় টাকা জমা দেওয়া যাবে। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পর অবশ্যই ব্যাংক থেকে দু’টি (একটি গ্রাহক কপি ও একটি বিআরটিএ কপি) মানি রিসিপ্ট বুঝে নেবেন। এছাড়াও https://www.ipaybrta.cnsbd.com/ -এ লিংকের মাধ্যমে ঘড়ে বসে অনলাইনেও টাকা জমা দিতে পারবেন। টাকা জমা দেওয়ার পর পেমেন্ট কনফার্মেশনটি প্রিন্ট করতে ভুলবেন না।

      (২) শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম সংগ্রহ ও পূরণ:  
      শিক্ষানবিশ বা  লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি জমা দেওয়ার পর শিক্ষানবিশ বা  লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম সংগ্রহ করতে হবে, যা https://goo.gl/2ces2L -এ লিংক থেকে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে অথবা যে কোন বিআরটিএ অফিস থেকে সংগ্রহ করা যাবে। এরপর তা সঠিক ভাবে পূরণ করে বিআরটিএ অফিস জমা দিতে হবে। শিক্ষানবিশ বা  লার্নার ড্রাইভিং ফরম পূরণের গাইড লাইনের জন্য https://goo.gl/RL5pwD  লিংকে ক্লিক করুন।

      (৩) শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম কোথায় জমা দিব?  
      সঠিকভাবে ফরম পূরণ করা পরে ফরমটি বিআরটিএ’র অফিসে জমা দিতে হবে। আপনি যে এলাকায় বসবার করেন অর্থাৎ যে ঠিকানা ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চান সে এলাকা বিআরটিএ’র যে সার্কেল অফিসের আওতায় সে খানে ফরমটি জমা দিয়ে ঐ দিনই আপনার শিক্ষানবিশ বা  লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি সংগ্রহ করতে পারবেন। এই শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সেই লিখিত, প্র্যাকটিক্যাল বা ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ থাকবে। আপনারা যারা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে থাকে তার ঐ জেলার ডিসি অফিসের ভিতরে যে বিআরটিএ অফিস আছে সেখানে ফরম জমা দিবেন। আর  ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার যারা আছে তারা দয়া করে https://goo.gl/Kpq7SN এ লিংক হতে আপনার বিআরটিএ অফিসটি দেখে নিন। 

      (৪) শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম জমা দেওয়ার সময় কি কি কাগজ বা ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে?  
        শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম জমা দেওয়ার সময় আপনাকে যে কাগজ বা ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে হবে তা হ’ল :
      (ক) টাকা জমা দেওয়ার রশিদ (বিআরটিএ কপি);
      (খ) বয়স প্রমাণের জন্য ০১ (এক) কপি জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি বা ০১ (এক) কপি পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি বা ০১ (এক) কপি জন্ম নিবন্ধন/বার্থ সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি;
      (গ)  শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ করার সময় যে ঠিকানা দিয়েছিলেন  আর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি / পাসপোর্টের কপি/ জন্ম নিবন্ধন বা বার্থ সার্টিফিকেটের  কপির ঠিকানা একই না হলে ফরমে লিখিত ঠিকানার বিদ্যুৎ বিল বা টেলিফোন বিল বা গ্যাস বিলের সত্যায়িত ফটো কপি;
      (ঘ) ০৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ও ০১ কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙ্গিন ছবি;

      (৫) সময়মত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ:
     শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সেই লিখিত, প্র্যাকটিক্যাল বা ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ থাকবে। নির্ধারিত সময়ের ১৫-২০ মিনিট পূর্বেই পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। এ পরীক্ষা ৩টি ধাপে সম্পন্ন হবে। (ক) লিখিত পরীক্ষা; (খ) প্র্যাকটিক্যাল ও (গ) মৌখিক।

(ক) লিখিত পরীক্ষা: প্রথমে আপনাকে ২০ নাম্বারের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। এ পরীক্ষায় ১৫-২০ মিনিটের বেশী সময়ের প্রয়োজন হয় না। এতে ৮-১০ মার্কের সংক্ষিপ্ত উত্তর ও বাকী অংশ MCQ প্রশ্ন থাকে। বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটে দেওয়া প্রশ্ন ব্যাংক ভালোভাবে দেখে গেলেই লিখিত পরীক্ষায় পাশের নিশ্চয়তা ১০০%। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার নমুনা প্রশ্নের জন্য https://goo.gl/U6jLtC - এ লিংকে ক্লিক করুন। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তরের জন্য https://goo.gl/XmcdvR - লিংকে ক্লিক করুন আর MCQ প্রশ্ন-উত্তরের জন্য https://goo.gl/1JznwQ - লিংকে ক্লিক করুন। 

(খ) প্র্যাকটিক্যাল বা ব্যবহারিক পরীক্ষাঃ লিখিত পরীক্ষার পর প্র্যাকটিক্যাল বা ব্যবহারিক পরীক্ষার নেওয়া হয়। প্র্যাকটিক্যাল বা ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনাকেই মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কার নিয়ে যেতে হবে। মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কার না থাকলে সমস্যা নেই। পরীক্ষার স্থানেই আপনি ২০০-৫০০ টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কার পেয়ে যাবেন। ব্যবহারিক পরীক্ষায় সচরাচর জিগজ্যাগ টেস্ট নেয়া হয় অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৮-১০ টা আকা-বাক খুঁটির মধ্যদিয়ে একবার সামনের দিকে গিয়ে আবার পিছনের দিকে চলে আসতে হয়।

(গ) মৌখিক পরীক্ষাঃ লিখিত পরীক্ষা ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় পাশ করার পর মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাতে হয়। মৌখিক পরীক্ষায় সচরাচর রোড সাইন ও রোড মার্কিং এর উপর প্রশ্ন ধরা হয়। যেমন- দেয়ালে টাঙ্গানো ব্যানারের কোন একটি চিহ্ন দেখিয়ে বলবে এটা দ্বারা কি বুঝায় এ ধরনের। কিছু নমুনা চিহ্ন https://goo.gl/wgAoGP-- লিংককে দেওয়া হলো। মৌখিক পরীক্ষার সময় আপনার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ রেখে দিবে। ১-২ সপ্তাহ পরে বিআরটিএ অফিস হতে তা আবার সংগ্রহ করতে হবে। 
   
      (৬) স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবার ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া;
      পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার ২-৩ সপ্তাহ পরে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নামের তালিকা সম্বলিত একটি রেজুলেশন স্বাক্ষর হয়। উক্ত রেজুলেশন স্বাক্ষর হওয়ার পর স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স) পাওয়ার জন্য পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ১৬৮০/- টাকা (০৫ বছর মেয়াদের) ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ২৫৪২/-টাকা (১০ বছর মেয়াদের) ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ব্যাংকের শাখা বা বুথের তালিকার জন্য এখানে ক্লিক করুন https://goo.gl/Av5Vgc । তালিকায় উল্লেখিত বাংলাদেশের যে কোন শাখায় টাকা জমা দেওয়া যাবে। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পর অবশ্যই ব্যাংক থেকে দু’টি (একটি গ্রাহক কপি ও একটি বিআরটিএ কপি) মানি রিসিপ্ট বুঝে নেবেন। এছাড়াও https://www.ipaybrta.cnsbd.com/ -এ লিংকের মাধ্যমে ঘড়ে বসে অনলাইনেও টাকা জমা দিতে পারবেন। টাকা জমা দেওয়ার পর পেমেন্ট কনফার্মেশনটি প্রিন্ট করতে ভুলবেন না।  

      (৭) স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চূড়ান্ত আবেদন ফরম সংগ্রহ, পূরণ ও  জমা দেওয়া:  স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি জমা দেওয়ার পর স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম সংগ্রহ করতে হবে। অপেশাদার স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরমে জন্য এখানে ক্লিক করুন। আর পেশাদার স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরমে জন্য এখানে ক্লিক করুন। অথবা যে কোন বিআরটিএ অফিস থেকেও সংগ্রহ করা যাবে। এরপর তা সঠিক ভাবে পূরণ করে বিআরটিএ অফিস জমা দিতে হবে।  স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম পূরণের গাইড লাইনের জন্য এখানে ক্লিক করুন। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন। কাজেই পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যারা আবেদন করবেন তাদেরকে বিআরটিএ অফিস থেকে পুলিশ প্রত্যয়ন প্রদান করার অনুরোধ জানিয়ে পুলিশ বরাবরে একটি পত্র দিবে, তা নিয়ে আপনি আপনার জেলার এসবি পুলিশ-কে দিবেন এবং পুলিশি প্রত্যয়ন সংগ্রহ করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনপত্র বিআরটিএ অফিসে জমা দিবেন। আর অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনকারীকে বায়োমেট্রিক্স (যথা- আঙ্গুলের ছাপ, ছবি ও স্বাক্ষর) প্রদানের জন্য একটি তারিখ দিবে। উক্ত তারিখে বিআরটিএ’র অফিস এসে  বায়োমেট্রিক্স (যথা- আঙ্গুলের ছাপ, ছবি ও স্বাক্ষর) প্রদান করতে হবে। বায়োমেট্রিক্স (যথা- আঙ্গুলের ছাপ, ছবি ও স্বাক্ষর) প্রদান করার পর বিআরটিএ অফিস থেকে আপনাকে একটি একনলেজমেন্ট স্লিপ  বা অস্থায়ী গাড়ি চালনার অনুমতি পত্র পাবেন। এটি অবশ্যই ফটোকপি করে নিরাপদ জায়গায় রেখে দিন। কারণ এই একনলেজমেন্ট স্লিপের খেলা কিছু  দিনের মধ্যে মুছে যায়।

    (৮) স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম জমা দেওয়ার সময় কি কি কাগজ বা ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে?
      (ক) নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ১৬৮০/-টাকা ও অপেশাদার- ২৫৪২/-টাকা) রশিদের বিআরটিএ’র কপি;
      (খ) ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
      (গ) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
      (ঘ) সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

 (৯) আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি বিআরটিএ অফিস থেকে সংগ্রহ করা:  
        বায়োমেট্রিক্স (যথা- আঙ্গুলের ছাপ, ছবি ও স্বাক্ষর) প্রদান করার পর স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত হতে ৯০ দিনের সময়ের কথা উল্লেখ থাকলে সময় আরও বেশী লাগে। আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত হয়ে গেলে পরে আপনার মোবাইলে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই মেসেজে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার থাকে কাজেই এ মেসেজটি যদি ডিলিট না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন। এরপর বিআরটিএ অফিসে এসে একনলেজমেন্ট স্লিপ জমা দিয়ে মেসেজটি দেখিয়ে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি সংগ্রহ করতে হবে।

বি:দ্র: কোন ধাপ বুঝতে অসুবিধা হলে বা এ ধাপগুলোর মধ্যে কোন অসংগতি দেখা দিলে দয়া করে নিচে কমেন্ট করুন।




  • শিক্ষানবীশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফমর কি ভাবে পূরণ করব? (প্রথম অংশ )
  • শিক্ষানবীশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফমর কি ভাবে পূরণ করব? (দ্বিতীয় অংশ )
  • স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০১]
  • স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০২]
  • স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০৩]
  • স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০৪]
  • স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০৫]


  • শিক্ষানবীশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফমর কি ভাবে পূরণ করব? (প্রথম অংশ :ব্যক্তিগত তথ্য )

    7:52 AM 1

    অনেক আবেদনকারীর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফরম পূরণের পদ্ধতি নিচে ধাপে ধাপে দেওয়া হলো। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরমে দুটি অংশ। প্রথম অংশে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও দ্বিতীয় অংশে ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট। 

    প্রথম অংশ (ব্যক্তিগত তথ্য)

    ১। কার বরাবর বা কোথায় আবেদন করবেন?


    আপনি যে এলাকায় বসবার করেন অর্থাৎ যে ঠিকানা ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চান সে এলাকা বিআরটিএ’র যে সার্কেল অফিসের আওতায় সে ঠিকানা এখানে লিকতে হবে। যেমন ধরুন আপনি ঢাকার মিরপুর এলাকায় বসবাস করেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে খিলতে হবে “মিরপুর-১৩, ঢাকা-১২১৬”। ঢাকা মেট্রোপলিটন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার বাসিন্দারা বাদে অন্য সকল গ্রাহক যে জেলায় বসবাস করেন বা যে জেলা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে চান সে জেলার নাম লিখতে হবে। যেমন আপনি যদি গোপালগঞ্জ জেলায় বাস করেন এবং ঐ জেলা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনাকে লিখতে হবে “গেপালগঞ্জ”। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় থানাসমূহকে ০৩ (তিন) টি মেট্রো সার্কেলের আওতায় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আপনার এলাক কোন মেট্রো সার্কেলের আওতায় পরেছে তা নিচের ছক থেকে দেখে নিন:


    (১) ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ এর  ঠিকানা হলো: মিরপুর-১৩, ঢাকা-১২১৬। [লোকেশন ম্যাপের জন্য এখানে ক্লিক করুন।]
    (২) ঢাকা মেট্রো সার্কেল-২ এর ঠিকানা হলো: ইকুরিয়া, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা (বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু(১ম বুড়িগঙ্গা সেতুর অপরপারে)। [লোকেশন ম্যাপের জন্য এখানে ক্লিক করুন।]
    (৩) ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩ এর ঠিকানা হলো: দিয়াবাড়ি, তুরাগ, উত্তরা, ঢাকা। [লোকেশন ম্যাপের জন্য এখানে ক্লক করুন।]
    (৪) ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা বাদে ঢাকা জেলার গ্রাহকদের জন্য ঢাকা জেলা সার্কেল হবে তার ঠিকানা হলো: ইকুরিয়া, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা (বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু(১ম বুড়িগঙ্গা সেতুর অপরপারে)। [লোকেশন ম্যাপের জন্য এখানে ক্লিক করুন।]

    ২। কোন ধরণের মোটরযান চালনার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স চান?

    শুধু মাত্র মোটর সাইকেল চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চাইলে “মোটর সাইকেল”-এ  টিক দিন। শুধু মাত্র প্রাইভেট কার চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চাইলে “হালকা মানের মোটরযান”-এ টিক দিন। যদি  মোটর সাইকেল ও প্রাইভেট কার বা হালকা মানের মোটরযান উভয় চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স চান তাহলে “মোটর সাইকেল” এবং “হালকা মানের মোটরযান” - এ দুটিতেই টিক দিন। যদি কোন বিশেষ ধরণের মোটরযান চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চান তাহলে “অন্যান্য..”-তে টিক দিয়ে মোটরযানের ধরণ লিখুন।

    ৩। ড্রাইভিং লাইসেন্সের টাইপ কি হবে? 
    ড্রাইভিং লাইসেন্সের টাইপ দুই ধরনের (ক) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও (খ) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স।

    (ক) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? : যখন কোন ব্যক্তি গাড়ি চালনা বা ড্রাইভিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চায় অর্থাৎ বেতনভোগী ড্রাইভার হতে চায় বা ভারার বিনিময়ে নিজের গাড়ি চালাতে চায় তাহলে তার জন্য পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নির্বাচন করতে হবে। 

    (খ) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? : যখন কোন ব্যক্তি নিজের গাড়ি চালাতে চায় তার জন্য অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রযোজ্য হবে। কিন্তু তিনি নিজের গাড়িতে ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী পরিবহন করতে পারবেন না।

    এ অংশে আবেদন কারীর প্রকৃতি অনুযায়ী “পেশাদার” অথবা “অপেশাদার” -এ টিক দিবেন এবং অন্যটি কেটে দিবেন।  

    ৪। ব্যক্তিগত তথ্যঃ

    লার্নার লাইসেন্স আবেদন ফর্মের ১ - ৩ নং ক্রমিকে সুস্পষ্ট অক্ষরে বাংলায় এবং এর পাশাপাশি / নিচে ইংরেজি বড় হাতের অক্ষরে আপনার নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে। ফরমটি বাংলায় হওয়া স্বত্বেও আপনার নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা ইংরেজিতে লিখে না দিলে বিআরটিএ অফিসে যে সকল অপারেটর আছে তারা প্রায়শই ইংরেজি বানানে ভুল করে। যার ফলে অনেক সময় অহেতুক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। আরও উল্লেখ্য যে, আবেদনকারীর নাম ও পিতার নাম জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্ম সনদ অনুযায়ী হওয়া আবশ্যক।

    ৫। অন্যান্য তথ্য:

    ক্রমিক নং ৪(ক) তে আপনার জন্ম তারিখ খিতে হবে যা জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্ম সনদ অনুযায়ী হওয়া আবশ্যক। 

    ক্রমিক নং ৪(খ)-তে আপনার রক্তের Group লিখতে হবে। (জাতীয় পরিচয়পত্রে রক্তের  Group থাকলেও অনেকসময় বিআরটিএ অফিস কর্তৃপক্ষ রক্তের Group পরীক্ষার রিপোর্টও চেয়েছেন এমন শোনা গেছে। কাজেই রক্তের Group পরীক্ষার রিপোর্ট সাথে থাকলে ভাল হয়।) 

    ক্রমিক নং ৫: নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ক্রমিক নং ৫-এ কিছু লিখার প্রয়োজন নেই বা প্রযোজ্য নয়।

    ক্রমিক নং ৬: শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ থাকে ০৬(ছয়) মাস। ০৬(ছয়) মাস পর পুনরায় নতুন লার্নার লাইসেন্স নিতে হয়। সেক্ষেত্রে ক্রমিক নং ৬ এ পুরাতন লার্নার লাইসেন্স নাম্বার ও ইস্যুর তারিখ লিখতে হবে।

    ক্রমিক নং ৭: ক্রমিক নং ৭ ড্রাইভিং প্রশিক্ষকের নাম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঠিকানা লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনি যার কাছ থেকে ড্রাইভিং শিখছেন বা শিখবেন তার নাম ঠিকানা। মোটরসাইকেল চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে এটি না লিখলেও চলে।

    ক্রমিক নং ৮: ক্রমিক নং ৭ এ প্রদত্ত ড্রাইভিং প্রশিক্ষকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার ও ইস্যুর তারিখ লিখতে হবে। ক্রমিক নং ৭ প্রযোজ্য না হলে ক্রমিক নং ৮ ও প্রযোজ্য হবে না।

    ৬। তারিখ ও স্বাক্ষর: 

    এ অংশে তারিখের জায়গায় যে দিন ফরম জমা দিবেন সে তারিখ ও ডান পাশে প্রার্থীর তিনটি স্বাক্ষর দিতে হবে।

    এ পর্যন্ত লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরমে প্রথম অংশ সম্পন্ন হলো। এবার দ্বিতীয় অংশে ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পূরণ করে নিয়ে গেলে ডাক্তারের জন্য সুবিধা হবে। ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পূরণের পদ্ধতি জানার জন্য “শিক্ষানবীশ বা লার্নার ড্রাইভিং ফমর কি ভাবে পূরণ করব? (দ্বিতীয় অংশ : ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট)” পোস্টটি দেখার অনুরোধ রইল।



    বি:দ্র: কোন ধাপ বুঝতে অসুবিধা হলে বা এ ধাপগুলোর মধ্যে কোন অসংগতি দেখা দিলে দয়া করে নিচে কমেন্ট করুন।

    Monday, September 25, 2017

    শিক্ষানবীশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফমর কি ভাবে পূরণ করব? (দ্বিতীয় অংশ : ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট)

    9:16 AM 2
    দ্বিতীয়  অংশ (ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট)

    ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট কি?
    ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট হচ্ছে এমন একটি সনদ বা সার্টিফিকেট যাতে একজন নিবন্ধিত বা রেজিস্টার্ড ডাক্তার আপনার স্বাস্থ্যগত অবস্থার সনদ প্রদান করেন।

    নিবন্ধিত বা রেজিস্টার্ড ডাক্তার কে এবং তাকে কোথায় পাব?
    সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ডাক্তারি পাশ করার পর একজন ডাক্তার-কে রোগী দেখার জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হতে হয়। শুধু মাত্র নিবন্ধিত ডাক্তারগণ রোগী দেখার পর ব্যবস্থাপত্র বা প্রেসক্রিপশন দিতে পারেন। আপনার আশে পাশে যে সকল ডাক্তার সরকারি ভাবে নিবন্ধিত তাদের কাছ থেকে এ সনদে স্বাক্ষর ও সিল নিতে পারেন। তবে প্রথমে জেনে নিন তার ডাক্তারি নিবন্ধন নাম্বার আছে কি না।

    ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পূরণ:



    ক্রমিক  নং ১ এ আপনার বয়স লিখেতে হবে।

    ক্রমিক  নং ২(ক)-তে আপনার "দৃষ্টি শক্তির কোন ত্রুটি নেই” অথবা “দৃষ্টি শক্তির ত্রুটি আছে কিন্তু চশমা দ্বারা সঠিক করা হয়েছে" কথাটি লিখেতে হবে।

    ক্রমিক  নং ২(খ)-তে আপনি সহজে সবুজ ও লাল রং চিহ্নিত করতে পারেন কি না তা লিখতে হবে।

    ক্রমিক  নং ২(গ)-তে রাতকানা রোগে ভুগছেন কি না তা লিখতে হবে।

    ক্রমিক  নং ২(ঘ)-তে আপনার কোন বধিরতা রোগে ভুগছেন কি না অর্থাৎ কানে শুনতে অসুবিধে আছে কি না তা উলে।লখ করতে হবে। 


    ক্রমিক  নং ৩: আপনার শরীরে এমন কোন অঙ্গহানি আছে কি না যা মোটরযান চালাতে অসুবিধে সৃষ্টি  করে তা ক্রমিক নং ৩ এ লিখতে হবে। [তবে শারীরিক প্রতিবন্ধীগণ নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিশেষভাবে মোডিফাইড মোটরযান চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন।]

    ক্রমিক  নং ৪: আবেদনকারীর মদ বা ড্রাগ আসক্তি আছে কি না তা লিখতে হবে।

    ক্রমিক নং ৫:  আবেদনকারীর দৃষ্টি শক্তি সাধারণভাবে সঠিক আছে কি না তা লিখতে হবে।

    ক্রমিক  নং ৬: আবেদনকারীর সনাক্তকরণ চিহ্ন যেমন জন্ম দাগ বা লক্ষণীয় কাটা দাগ ইত্যাদি থাকলে তা উল্লেখ করতে হবে।



     উপরের প্রত্যয়নের অংশে আবেদনকারীর নাম লিখতে হবে। 
    স্বাক্ষর অংশে ডাক্তারের স্বাক্ষর, নামে অংশে ডাক্তারের নাম এবং রেজিঃ নং অংশে ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখতে হবে এবং ছবির ঘরে একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি দিতে হবে।



    বি:দ্র: কোন ধাপ বুঝতে অসুবিধা হলে বা এ ধাপগুলোর মধ্যে কোন অসংগতি দেখা দিলে দয়া করে নিচে কমেন্ট করুন।

    Sunday, September 24, 2017

    স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০১]

    9:30 AM 0
    বিআরটিএ’তে বর্তানে যে ৪-৫ পৃষ্ঠার স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম আছে তা পূরণ করাটা অনেকেই সমস্যা মনে করেন। কিন্তু এ ফরম পূরণের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকলে অতি সহজেই কোনরকম জটিলতা ছাড়াই এ ফরম করতে পারবেন। এ ফরম পূরণের প্রতি ধাপ এখানে আলোচনা করা হলো। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম দ’টি সেকশনে ভাগ কা হয়েছে। সেকশন-এ’তে ব্যক্তিগত তথ্য এবং সেকশন-বি’তে ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত তথ্য পূরণ করতে হবে। 
    প্রথম ধাপ


    ক্রমিক নং ১: এ অংশে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে পূরণ করতে হবে। প্রতিটি ঘরে একটি করে নম্বর বা ডিজিট বসবে। বাম পাশ থেকে নম্বর বসানো শুরু করতে হবে। অবশিষ্ট ঘরগুলো এক টানে কেটে দিতে হবে।

    ক্রমিক নং ২: এ অংশে আবেদনকারীর জন্ম তারিখ লিখতে হবে। (ক) প্রথম দুই ঘরে তারিখ লিখতে হবে। তারিখ যদি এক সংখ্যার হয় তাহলে তার পূর্বে  ০ (শূন্য) বসাতে হবে। যেমন জন্ম তারিখ যদি কোন মাসে ৫ তারিখ হয় তাহলে প্রথম ঘরে ০ ও দ্বিতীয় ঘরে ৫ লিখতে হবে। (খ) তৃতীয় ও চতুর্থ ঘরে মাসে সংখ্যা লিখতে হবে। জন্ম মাস জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর -এর মধ্যে হয় তাহলে মাসের সংখ্যার পূর্বেও একটি ০ (শূন্য) বসাতে হবে। যেমন- আবেদনকারীর জন্ম মাস ফেব্রুয়ারি হয় তাহলে তৃতীয় ঘরে ০ এবং চতুর্থ ঘরে ২ লিখতে হবে অর্থাৎ মাস হবে ০ ২। (গ) পঞ্চম ঘর থেকে অষ্টম ঘর পর্যন্ত জন্ম সাল লিখতে হবে এবং প্রতিটি ঘরে ১টি করে নম্বর বা ডিজিট লিখতে হবে। যেমন - 1 9 8 1 । আবেদনকারীর জন্ম তারিখ যদি 5 ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ হয় তাহলে লিখতে হবে 0 5 0 2 1 9 8 1। 


    ক্রমিক নং ৩:  (ক) এ অংশে আবেদনকারীর নাম ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটারে লিখতে হবে। প্রতিটি ঘরে একটি করে অক্ষর হবে এবং নামের একটি অংশ শেষ হলে এক ঘর ফাকা রেখে নামের পরের অংশ লিখতে হবে। অবশিষ্ট ঘরগুলো এক টানে কেটে দিতে হবে। (খ) ইংরেজি নাম লেখা অংশের নিচে বাংলায় নাম লেখার জায়গা আছে সেখানে স্পষ্ট অক্ষরে বাংলায় আবেদনকারীর নাম লিখতে হবে। 

    ক্রমিক নং ৪: (ক) এ অংশে আবেদনকারীর পিতার নাম ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটারে লিখতে হবে। প্রতিটি ঘরে একটি করে অক্ষর হবে এবং নামের একটি অংশ শেষ হলে এক ঘর ফাকা রেখে নামের পরের অংশ লিখতে হবে। অবশিষ্ট ঘরগুলো এক টানে কেটে দিতে হবে। (খ) ইংরেজি পিতার নাম লেখা অংশের নিচে বাংলায় পিতার নাম লেখার জায়গা আছে সেখানে স্পষ্ট অক্ষরে বাংলায় আবেদনকারীর পিতার নাম লিখতে হবে। 

    ক্রমিক নং ৫: (ক) এ অংশে আবেদনকারীর মাতার নাম ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটারে লিখতে হবে। প্রতিটি ঘরে একটি করে অক্ষর হবে এবং নামের একটি অংশ শেষ হলে এক ঘর ফাকা রেখে নামের পরের অংশ লিখতে হবে। অবশিষ্ট ঘরগুলো এক টানে কেটে দিতে হবে। (খ) ইংরেজি মাতার নাম লেখা অংশের নিচে বাংলায় পিতার নাম লেখার জায়গা আছে সেখানে স্পষ্ট অক্ষরে বাংলায় আবেদনকারীর মাতার নাম লিখতে হবে। 


    ক্রমিক নং 6: আবেদনকারী ছেলে হলে Male এবং মেয়ে হলে Female -এ টিক দিতে হবে।

    ক্রমিক নং ৭: আবেদনকারী বিবাহিত হলে Married এ, অবিবাহিত হরে Unmarried এ, বিধবা বা বিপত্নীক হলে Widowed/Widower এ, ডিভোরসড হরে Divorced এ টিক দিতে হবে। 

    ক্রমিক নং ৮: আবেদনকারী বিবাহিত, বিধবা বা বিপত্নীক অথবা ডিভোরসড হলে এ অংশে স্বামী বা স্ত্রীর নাম ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটারে লিখতে হবে। প্রতিটি ঘরে একটি করে অক্ষর হবে এবং নামের একটি অংশ শেষ হলে এক ঘর ফাকা রেখে নামের পরের অংশ লিখতে হবে। অবশিষ্ট ঘরগুলো এক টানে কেটে দিতে হবে। 

    ক্রমিক নং ৯: এ অংশে আবেদনকারীর পেশা লিখতে হবে। আবেদনকারী যদি বেকার হয় তবে এ ঘর ফাকা রাখা যেতে পারে।

    ক্রমিক নং ১০: এ অংশে আবেদনকারীর রক্তের গ্রুপ লিখতে হবে। যেমন:-  O + বা AB - ।


    ক্রমিক নং ১1: এ অংশে আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে। (ক) House / Village / Road / Street-অংশে শহরের ঠিকানা হলে ফ্ল্যাট নং, বাড়ি নং ইত্যাদি লিখতে হবে আর গ্রামের ঠিকানা হলে বাড়ি নাম -যেমন- মোল্লা বাড়ি , গ্রামের নাম যেমন- কাঞ্চনপুর (মধ্যপড়া) ইত্যাদি লিখতে হবে।  (খ) Union অংশে শহরের ঠিকানার ক্ষেত্রে প্রথম অংশ প্রদত্ত ঠিকানার অতিরিক্ত অংশ থাকলে তা লিখতে হবে আর গ্রামের ঠিকানা হলে ইউনিয়নের নাম লিখতে হবে। (গ) Upazilla/Town-অংশে উপজেলার নাম বা শহরের নাম লিখতে হবে। (ঘ) District/State -অংশে জেলার নাম লিখতে হবে। (ঙ) PostCode/ZIP অংশে পোস্ট কোড লিখতে হবে। আপনার পোস্ট অফিস থেকে এ কোড সংগ্রহ করতে পারেন। অথবা http://www.bangladeshpost.gov.bd/postcode.asp লিংক থেকেও পোস্ট কোড সংগ্রহ করতে পারেন।


    ক্রমিক নং ১২: এ অংশে আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা লিখতে হবে। এ অংশ ক্রমিক নং 11 অনুরূপভাবে পূরণ করতে হবে। 

    স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণের বাকী অংশ দেখার জন্য স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০২] -তে ক্লিক করার অনুরোধ করা হলো।


    Friday, September 22, 2017

    স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০২]

    9:06 AM 1
    এখানে “স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব?” এর দ্বিতীয় অংশ পর্যায়ক্রমে দেয়া হলো।  প্রথম অংশ দেখতে চাইলে “স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০১]” -এ ক্লিক করার জন্য অনুরোধ করা হলো।


    ক্রমিক নং ১৩: এখানে আবেদনকারীর জাতীয়তা কি তা লিখতে হবে। বাংলাদেশী হলে “BANGLADESHI” লিখতে হবে। 

    ক্রমিক নং ১৪: আবেদনকারী বাংলাদেশী নাগরিক হলে “No”-তে টিক দিবেন। আর আবেদনকারী যদি বাংলাদেশের নাগরিক না হয়ে অন্য কোন দেশের নাগরিক হলে ক্রমিক নং ১৩-তে তার জাতীয়তা লিখবে এবং ক্রমিক নং ১৪ এর “Yes”--এ ক্লিক করে “country” লেখার ঘরে তাঁর দেশের নাম লিখবেন।


    ক্রমিক নং ১৫: এখানে আবেদনকারীর যে সকল টেলিফোন, মোবাইল ফোনে পাওয়া যাবে তা লিখতে হবে। যাদের দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা আছে তাদের ক্ষেত্রে কান্ট্রি কোড (+88 ) সহ ফোন/মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। 

    ক্রমিক নং ১৬: জরুরি প্রয়োজনে যেমন দুর্ঘটনায় পরলে আবেদনকারীর নিকট আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করে তথ্য ও সহায়তা পাওয়া সম্ভব এমন কারো নাম, সম্পর্ক, মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল দিতে হবে।  


    এ অংশ শুধুমাত্র বিদেশীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । বাংলাদেশী নাগরিকগণ এ অংশ ফাকা রাখবেন।

    ক্রমিক নং ১৭: এ অংশে আবেদনকারীর বিদেশী ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার লিখতে হবে।

    ক্রমিক নং ১৮: এ অংশে আবেদনকারীর পাসপোর্ট নাম্বার লিখতে হবে।

    ক্রমিক নং ১৯: এ অংশে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা সোশাল সিকিউরিটি নাম্বার লিখতে হবে।




    Thursday, September 21, 2017

    স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০৩]

    9:38 AM 0
    এখানে “স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব?” এর তৃতীয়  অংশ পর্যায়ক্রমে দেয়া হলো। 
    তৃতীয় অংশটি মূলত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরমের দ্বিতীয় ধাপ। এ অংশে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।   এখানে “স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০৩]” - পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো।


    দ্বিতীয় ধাপ


    ক্রমিক নং ২০: এখানে বিআরটিএ অফিস কর্তৃক পূরণ করা হবে। আবেদনকারী এ ঘরটি ফাঁকা রাখবেন।

    ক্রমিক নং ২১: এখানে আবেদনকারী ব্যাংকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি জমা দিলে ব্যাংক তেকে যে মাটি রিসিপ্ট দিবেন তাতে একটি ১৩ ডিজিটের ব্যাংক ট্রানজেকশন নাম্বার থাকে সেটি এ ঘরে বসাতে হবে। ট্রানজেকশন নাম্বার কোথায় পাবেন তার একটা নমুনা নিচে চিত্রে দেওয়া হলো। 


    উল্লেথ্য যে, অনেকে ট্রানজেকশন নাম্বারের পরিবর্তে  ই-ট্র্যাকিং নাম্বার দিয়ে থাকেন। একটু খেয়াল করবেন ট্রানজেকশন নাম্বার ই-ট্র্যাকিং নাম্বারের উপরে থাকে।


    ক্রমিক নং ২২:  ক্রমিক নং ২২ নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। যে সকল আবেদনকারী ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, ডুপ্লিকেট কপি, তথ্য বা বানান সংশোধন ইত্যাদি কাজের জন্য আবেদন করবেন অর্থাৎ যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে তারা তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার এখানে লিখবেন। 

    ক্রমিক নং ২৩:  ড্রাইভিং লাইসেন্সটি বাংলায় চাইলে “বাংলা” অথবা ইংরেজিতে চাইলে “ইংরেজি”-তে টিক দিতে হবে। তবে,  “ইংরেজি”-তে টিক দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে, কারণ দেশের বাইরে ইংরেজি ড্রাইভিং লাইসেন্সের গ্রহণযোগ্যতা আছে। 


    ক্রমিক নং ২৪: এখানে আবেদনকারীর প্রকৃতি কি তাতে টিক দিতে হবে। যেমন- সাধারণ নাগরিক হলে “General”-এর ঘরে টিক দিতে হবে। আর্মি, নৌবাহিনি বা এয়ারফোর্সের সদস্য হলে “Defense Personnel”-এর ঘরে টিক দিবেন। বিদেশী হলে “Foreigner”-এর ঘরে টিক দিবেন।   কূটনীতিজ্ঞ হলে “Diplomat”-এর ঘরে টিক দিবেন।

    ক্রমিক নং ২৫: এখানে আবেদনের ধরন নির্বাচন করতে হবে। যেমন :- 
    (a) লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চাইলে “a) Learner License”-এর ঘরে টিক দিবেন; 
    (b) নতুন স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে “b) DL issue”-এর ঘরে টিক দিবেন; 
    (c) ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করলে “c) Renewal”-এর ঘরে টিক দিবেন; 
    (d) ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর প্রতিলিপি বা ডুপ্লিকেট কপির জন্য আবেদন কররে “d) Duplicate”-এর ঘরে টিক দিবেন; 
    (e) বর্তমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের সাথে মোটরযানের শ্রেণি সংযোজন করতে চাইলে অর্থাৎ হালকা মোটরযান চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে তার সাথে মোটরসাইকেল যোগ করতে চাইলে বা মোটরসাইকেল চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে তার সাথে প্রাইভেট কার সংযোজন করতে চাইলে “e) Addition to DL”-এর ঘরে টিক দিবেন; 
    (f) বর্তমান ড্রাইভিং লাইসেন্সে মোটরযানের শ্রেণি পরিবর্তন করতে চাইলে অর্থাৎ হালকা মানের মোটরযান চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে তা এখন মধ্যম মানের মোটরযান চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স চাইলে “f) Change of Vehicle Class”-এর ঘরে টিক দিবেন; 
    (g) বর্তমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতি পরিবর্তন করতে চাইলে অর্থাৎ পেশাদার আছে অপেশাদার করতে চাইলে বা অপেশাদার আছে পেশাদার করতে চাইলে “g) Change Type of License”-এর ঘরে টিক দিবেন; 
    (h) পাবলিক সার্ভিস ভেহিকল (পিএসভি) লাইসেন্স অর্থাৎ ভারি মোটরযান যেমন বড় বাস বা বড় ট্রাক চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স চাইলে “h) PSV”-এর ঘরে টিক দিবেন (সরাসরি পিএসভি লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ নেই); 
    (i) ড্রাইভিং লাইসেন্সে ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে “i) Change of Address”-এর ঘরে টিক দিবেন। 


    ক্রমিক নং ২৬: শুধুমাত্র নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের ক্ষেত্রে এঘরে প্রশিক্ষকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার লিখতে হবে। তবে মোটরসাইলের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।

    ক্রমিক নং ২৭: ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরণ পেশাদার হলে “Professional”-এর ঘরে টিক দিতে হবে অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরণ অপেশাদার হলে “Non-Professional”-এর ঘরে টিক দিতে হবে। 


    ক্রমিক নং ২৮: এ অংশে মোটরযানে শ্রেণি নির্বাচন করতে হব। 
    a(i) যারা নতুন পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তার আবেদনের ধরণ অনুযায়ী মোটরযানের শ্রেণি “Three Wheeler” অথবা “Light Vehicle” অথবা উভয় ঘরেই টিক দিবেন। 
    a(ii) যারা পেশাদার হালকা মানের মোটরযানের ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে মধ্যম মানের মোটরযান চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তারা “Medium Vehicle”-এর ঘরে টিক দেবেন।
    a(iii) যারা পেশাদার মধ্যম মানের মোটরযানের ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে ভারি মানের মোটরযান চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তারা “Heavy Vehicle”-এর ঘরে টিক দেবেন।
    a(iv) যদি বিশেষ ধরণের মোটরযান চালনার পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে  "Others"- ঘরে টিক দিবেন এবং specify: অংশে তা লিখে দিবেন।

    b(i) যারা নতুন অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তার আবেদনের ধরণ অনুযায়ী মোটরযানের শ্রেণি “Motorcycle” অথবা “Light Vehicle” অথবা উভয় ঘরেই টিক দিবেন।
    b(ii) যদি বিশেষ ধরণের মোটরযান চালনার অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে  "Others"- ঘরে টিক দিবেন এবং specify: অংশে তা লিখে দিবেন।


    স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণের বাকী অংশ দেখার জন্য স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম কি ভাবে পূরণ করব? [পার্ট-০৪] -তে ক্লিক করার অনুরোধ করা হলো।